সোনাডাঙ্গা থানা ও রাতে সদর থানা শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকালে বসুপাড়াস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন।

নির্বাচন বিলম্ব হলে ষড়যন্ত্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। দেশের ৫৪টি রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তিনি বিদেশে গিয়ে বললেন- শুধু বিএনপি নির্বাচন চায়, আর কেউ চায় না। তার এ বক্তব্যে আমরা মর্মাহত হয়েছি।

সরকার ৯ মাসে কী সংস্কার করেছে, জাতি তা জানতে চায় এমন মন্তব্য করে তুহিন বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছেন। ধ্বংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত করতে এর বিকল্প নেই। এই ৩১ দফার মধ্যেই রয়েছে রাষ্ট্র মেরামতের যাবতীয় উপাদান। ৩১ দফা শুধু বিএনপির নয়, এটা বিগত স্বৈরাচার আমলে রাজপথে থাকা সকল গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলের। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। বচর্তমান সরকারের পক্ষে সব সংস্কার করা সম্ভব নয়। কারণ এই সরকার একটি স্বল্প মেয়াদকালীন সরকার, অনির্বাচিত সরকার। এই সরকারের মূল কাজ হচ্ছে, নির্বাচনমুখী প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ শেষে দ্রুততম সময়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। কিন্তু সরকার সেই পথে না হেঁটে ক্ষমতায় থাকার রাস্তা পাকাপোক্ত করার চেষ্টায় ব্যস্ত।

তিনি নেতাকর্মীদের নির্বাচনী প্রস্তুতি গ্রহনের আহবান জানিয়ে বলেন, কারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবে, কারা আপনাদের প্রতিনিধি হবে, জাতীয় নির্বাচনে আপনারা ভোট দিয়ে আপনাদেরকেই সেই প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে হবে। আলোচনার এক পর্যায়ে শ্রমিকদলের নেতাকর্মীদের মুখে বিগত ১৫বছর পতিত সরকারের হয়রানী ও নির্যাতন, অভাব অনটনের কথা শুনে প্রধান অতিথি আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন এবং অশ্রুসজল চোখে তিনি নেতাকর্মীদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক মজিবর রহমান, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, মহানগর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম শফি, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির ইকবাল বাপ্পী, মাহবুবুর রহমান, আবু বক্কর, সিদ্দিকুর রহমান, আবু জাফর, ইসলাম খলিফা প্রমূখ।

খুলনা গেজেট/এমএম